ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

রোপা আমনের সাথে এ কেমন শত্রুতা?

চকরিয়ায় দুষ্কৃতকারীরা মাটিতে মিশিয়ে দিল কৃষকের ফসল

মনির আহমদ, প্রতিনিধি ::
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়ায় প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে একদল চিহ্নিত দুষ্কৃতকারীর দল নিরীহ এক কৃষকের ২০ শতক রোপিত আমন ধানের চাষ পদদলিত করে কাদায় মিশিয়ে দিয়েছে।আজ বুধবাবার ১১ আগষ্ট সকাল আটটায় ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তেচ্ছিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন বড়দিয়া বিলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে ওই কৃষক সহ সাধারন জনতা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সাহাব উদ্দিন(৪০) অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত বারেক উল্লাহর মৃত্যুর পর বড় পুত্র নুরুল আলম (৬৫) গং দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে অপরাপর ভাই-বোনদের ভাগিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি একাই জোর পুর্বক ভোগ করে আসছিলেন। এ নিয়ে বিগত দুই বছর ধরে বিচার শেষে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু ও মেম্বার বদিউল আলমের বিচারে ২৫ শতক জমি ছোট পুত্র হাবিবুর রহমান প্রাপ্য হয়।

এই প্রপ্য জমি স্থানীয় ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু ও মেম্বার মেম্বার বদিউল আলমের কাছ থেকে কৃষক সাহাব উদ্দিন বর্গা নেন। গেল বন্যা আমন চারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সুদুর চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে আমন ধানের চারা কিনে এনে সোম ও মঙ্গলবার রোপন করেন। কিন্তু সন্ত্রাসী বড় ভাই ও তার পুত্ররা বহিরাগত মাস্তান নিয়ে বিচারকের বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজ বুধবার লাটি সোটার ভয় দেখিয়ে কৃষক সাহাব উদ্দিনকে ধাওয়া করে জমিতে নেমে ২০শতক জমির আমান ধানের রোপিত চারা পদদলিত করে কাদায় ডুবিয়ে ও তুলে নিয়ে নষ্ট করে দেয়। এতে ওই গরীব কৃষকের ৫০ হাজারের বেশী টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

এ ব্যাপারে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু ও মেম্বার মেম্বার বদিউল আলম পৃথক ভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সুবিধা চাইলে সহযোগীতা করবেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: